Publisher | Itykatha - ইতিকথা |
Language | Bengali |
Pre Order
পাকিস্তানি গজল গায়কীতে সেদিন তিনটে নাম — মেহেদি হাসন, গুলাম আলি আর ফরিদা খাতুন। মেহেদির গলা অদ্ভুত মিষ্টি, সংক্ষিপ্ত বা দীর্ঘ বোলবাণীর সমন্বয়ে ছন্দের বৈচিত্র্যে লয়ের ওপর অধিকার —- সব আছে তাঁর। ত্রিসপ্তকে অনায়াস সঞ্চারী গতির সৌন্দর্যই বা কম কিসের? কণ্ঠের ওঠানামায় প্রকাশ পায় তাঁর শিল্পসৃষ্টির নৈপুণ্য। তাঁর অজস্র জনপ্রিয় গজলের মধ্যে একটির দুটি শের উদ্ধৃত করছি :
“অজব জুনুনে মুসাফত মে ঘর সে নিকলা থা
খবর নহী হ্যয় কি সূরজ কিধর সে নিকলা থা
য়ে কওন ফির সে উন্হে রাসতোঁ মে ছোড় গ্যয়া
অভি-অভি তো অজাবে-সফর সে নিকলা থা”
গুলাম আলির লোকপ্রিয়তা তাঁর চটুল অঙ্গের গজলের জন্য। কিন্তু তিনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে পাকা ওস্তাদ। ভরাট গলায় উঁচু দরের নাট্যময়তা বিদ্যমান। রাগরূপ উন্মোচনে মন্দ্রগতির স্বর সমন্বয়ে যে আবেদন সৃষ্টি করেন গুলাম, তা নিঃসন্দেহে মর্মস্পর্শী। মীড়ের টানে যে সূক্ষ্মতর স্বরধ্বনির প্রয়োগ নৈপুণ্য অসামান্য দক্ষতায় বিভাসিত, মধুকণ্ঠে স্বরধ্বনির রেশ ধরে স্বরের বিচিত্র লীলার যে প্রকাশ, সেখানে তিনি অনন্য। রাগরূপের প্রকাশ বেদনায় গুলাম আলি যেন নিজেকেই প্রকাশ করতে চান। গজলের মকতা অংশে তিনি কণ্ঠে বেদনা বা দরদ ফুটিয়ে তোলার সমস্ত সম্ভাবনার শেষ সীমাটিকে বারবার ছুঁয়ে যান। “চুপকে চুপকে রাত দিন আঁসু বহানা য়্যাদ হ্যয়” এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
Book Review
There are no reviews yet.