Publisher | Lyriqal Books - ৯ঋকাল |
ISBN | 978-93-87577-58-9 |
Pages | 468 |
Binding | Paperback |
Language | Bengali |
যাঁরা কিছুটা হলেও গানের গভীরে যাবার অধিকারী আগেকার দিনে রাজাবাদশার দরবারে উচ্চাঙ্গের গান শুনতে কেবল তাঁদের প্রবেশাধিকার ছিল। একালে কারিগরি উন্নতির কল্যাণে গান শোনার সুযোগ অনন্ত, কিন্তু সঙ্গীতের গভীরে যাবার শিক্ষা কোনও ইশকুল-কলেজে দেওয়া হয় না। শ্রোতা বেড়েছে, সমঝদার কমেছে। বহ্বাড়ম্বর বেড়েছে, উপলব্ধি কমেছে। চারদিকে ছড়িয়ে থাকা সুরের চরাচরকে স্পর্শ করার ইচ্ছে নিয়ে এই গ্রন্থের যাত্রা। ঘটনা হল, কেন গান? কীসের গান? কেন যুগ যুগান্তর ধরে গান মানুষের শ্রেষ্ঠ অর্জন হয়ে উঠেছে। সমস্ত শিল্প বিচার করে কেন মানুষকে বলতে হয় ‘গানাৎ পরতরং নাহি’। এই গ্রন্থে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার যাত্রা। গান-যাপনের পথে সলতে পাকানোর প্রস্তুতিটি যার আধেয়।
বৈষ্ণব ও শাক্ত কবিদের গ্রামস্বভাবী, মরমিয়া সৃষ্টিসম্পদের উত্তরসূরি বহু ধরনের গান ছিল বাঙালির প্রেয় ঐতিহ্য। এই সব সঙ্গীতধারাই পরবর্তীকালে বাংলা নাগরিক গানের মূল স্রোত। অষ্টাদশ শতকের শেষ থেকে বাংলা ‘আধুনিক’ গানের উৎপত্তি। বাংলা গানে নাগরিক প্রবণতা উন্মেষের প্রাক্কালে বাঙালি শুনত, কবিগান, তরজা, আখড়াই, ঢপকীর্তন, ঝুমুর ইত্যাদি। পরে হাফ আখড়াই। নাগরিক গানের প্রতি বাঙালি শ্রোতার আগ্রহ দানা বাঁধতে শুরু করে নবাবি শাসন থেকে ইংরেজ শাসনের সন্ধিকাল পর্বে। আজ পর্যন্ত বাংলা গানকে কয়েকটি যুগে ভাগ করলে দেখা যায়, প্রতিটি যুগেই বহু দক্ষ, সৃষ্টিশীল সঙ্গীতকাররা এসেছেন। কিন্তু কয়েকজন দিকপাল সুরশিল্পী, সৃষ্টিশীলতার ব্যাকরণটি যুগধর্মের সঙ্গে সমন্বিত করে ‘নতুন’ ধারার প্রবর্তন করেছিলেন। শ্রোতাদের কাছে সঙ্গীত উপভোগের নতুন মাত্রা এনে দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের গেম চেঞ্জার বলা যেতে পারে। বাংলা গানে সে রকম চারজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে পৃথক ও বিশদ চর্চা করা হয়েছে— রামনিধি গুপ্ত, রবীন্দ্রনাথ, সলিল চৌধুরী এবং কবীর সুমন।
Book Review
There are no reviews yet.