Publisher | |
ISBN | 978-93-93186-54-6 |
Pages | 160 |
Binding | Paperback |
Language | Bengali |
তীব্র সে গরল। শরীরে এসে পড়লে চামড়া, মাংস ফেটে গলে যায়। টয়লেট ক্লিনার হিসেবে ব্যবহৃত হত একদা। চামড়া ট্যানিং এর কাজে, সোনার গয়না বানানোর কাজে এখনও ব্যবহৃত হয় সেই অ্যাসিড। এ ছাড়া আরও একটি বিষয়ে এখন এর বহুল ব্যবহার। আক্রমণ। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ। পারিবারিক ঝামেলা। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রেমপ্রস্তাবে ‘না’ বলার জন্য।
একটি ‘না’। সঙ্গে সঙ্গেই মগ বা বালবে ভরে আনা খানিক তরল আগুন, বা তার চেয়েও তীব্র তরলটা ‘না’ বলা মেয়েটির মুখে ছুঁড়ে দেবে প্রহর্তা। মেয়েটি উন্মত্তের মতো ভয়ানক আর্তনাদ করে লুটিয়ে পড়বে। অজ্ঞান হয়ে যাবে মর্মন্তুদ যন্ত্রণায়। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পরেও আবার অজ্ঞান হতেই থাকবে। সব গলে গেছে যে! চোখ গলে বেরিয়ে এসছে তরল হয়ে। কান নেই। নাক অর্ধেক নেই। মুখের একপাশ ফেটে লাল মাংস বেরিয়ে এসছে। প্রস্যন্দিত যৌবন। ‘না’ বলছ! একটা মেয়ে হয়ে! একজন পুরুষকে! তাও ভালবাসার প্রস্তাবে! ধন্য হয়ে, কৃতজ্ঞ হয়ে সারা জীবন থেকে যাওয়ার কথা করজোড়ে! না পারলে অ্যাসিডে গলে পচে জীবন্মৃত হয়ে থেকে যাও বাকি জীবনটা। তোমার জীবন জীবিকা মনের জোর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যাক তোমার পরিবার। মেয়েটির রূপ গলে পচে যাক্। জীবন্মৃত হয়ে যন্ত্রণায় পড়ে থাকুক।
অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়েই এই বই অবহু (এখনও) অপরাজিতা। রয়েছে অ্যাসিড আক্রান্তদের অবর্ণনীয় মর্মন্তুদ বিকরাল অভিজ্ঞতা। নিজেদের ভাষায়। অন্যদের কথাতেও। তবে শুধু অন্ধকার নয়। শেষ পর্যন্ত আঁকা হয়েছে আলোর কথা। অপরাজিতা মনীষা, পারমিতা, সুনীতা নিজেরাই লিখেছেন নিজেদের যাত্রাপথের কথা। উত্তরণের প্রয়াসের কথা। সমবেত কণ্ঠে প্রথমবার ধ্বনিত হল অ্যাসিড আক্রান্তাদের কথা বাংলা প্রকাশনার চৌকাঠে। তমসাকে হারিয়ে জ্যোতির পথে এগোনোর মর্মগাথাই ‘অবহু অপরাজিতা’।
Book Review
There are no reviews yet.