Publisher | Sopan-সোপান |
ISBN | 978-93-82433-91-0 |
Binding | Paperback |
Language | Bengali |
দীর্ঘ ৬৮ বছরের অপেক্ষার শেষে বিগত ৩১ জুলাই ২০১৫ মধ্যরাতে ছিটবাসীরা পেরেছিলে স্বাধীনতার স্বাদ। ঐতিহাসিক ভাবেই চিনে উতान না আর পানির ইতিহাস। মোগল আমলে কোচবিহারের মহারাজা ও রংপুরের রাজা তান বা দাবা পেলায় নিজ নিজ এলাকার ছিটমহল বাজি ধরতেন। হাতবদল ঘটত ছিটমহলের। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ছিটমহলবাসীরা আক্ষরিক অর্থেড নিজদেশে পরবাসী হয়ে গেলেন। ছিটমহল নিয়ে কোনো সমাধানে না গিয়েই মাত্র অসপ্তাহ কাজ করে ১৩ আগস্ট ১৯৪৭ সিরিল র্যাডক্লিক ভারত-পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জনা দিয়েছিলেন। ফলে ভারতের মানচিত্রের মধ্যে থেকে গিয়েছিল টুকরো টুকরো বাংলাদেশের ছিট। আর বাংলাদেশের মানচিত্রের মধ্যে থেকে গিয়েছিল টুকরো টুকরো ভারতের ছিট। ভারত-বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট ২০১৫ থেকে ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে যায়। অনুরূপভাবে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ভারতের ভূখণ্ড হয়ে যায়। ৩৮টি মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে ছিটমহলবাসী আনন্দের সঙ্গে ৩১ জুলাই দিনটি উদ্যাপন করেন।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আক্ষরিক অর্থে একা ছিটমহল আর নেই কোথাও। নেই দেশের মানুষেরা এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড পেলেও মেনস্ট্রিম সমাজ সাবেক ছিটমহলবাসীদের ‘অপর’ করে রেখেছে। আত্মপরিচয়ের সংকট পেরিয়ে তারাও পেতে চাইছেন পূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা। দুই বাংলার আটত্রিশটি গল্পে ছিটমহলবাসীদের আত্মপরিচরের সংকট, গ্লানি-বঞ্চনার ইতিহাস আখ্যান বাস্তবতায় ধরা পড়েছে। কথা সাহিত্যের এ এক নতুন পরিসর, নতুন ভুবন।
প্রচ্ছদঃ দেবাশীষ সাহা
Book Review
There are no reviews yet.