Publisher | Lyriqal Books - ৯ঋকাল |
ISBN | 978-93-87577-07-7 |
Pages | 224 |
Binding | Hardbound |
Language | Bengali |
এই বই কোনও কথা বলে না, মৌনই এখানে সঙ্গীত। চুপিচুপি লিখে যাওয়া আত্মমগ্ন নদীর কথা, নির্লিপ্ত গাছের কথা, সাপের সঙ্গে লড়াই, দ্বিধা আর সংস্কারকে তাড়া করা মৌমাছির গুঞ্জন শোনা যায় ক্ষীণ। শীতল জল ছোঁয়ার মতো হাওয়া দেয় রোদ্দুর, টর্চ লাইটের ছুরি কেটে দেয় অন্ধকার, সীমান্ত জুড়ে ভারী বুট আর রেডিও খুলনার সতর্কবার্তার করাল মেঘ দাঁতে কাটে আয়লা নামের রাক্ষস। দিশেহারা ছিন্নভিন্ন মানুষেরা তবু নতুন ঘর তোলে। ব্রতী হয় নতুন জীবনের সন্ধানে। স্বভাব অলস সীমা মনে মনে শুধু ছবি আঁকতেন টাকীতে থাকতে। বিয়ের পর কলকাতার শহরবাসে কথা বলতেন নিজের সঙ্গে। একটা ফোন পাল্টে দিল তার জীবনের মানে। ২০১৪ সালে তাঁদের একমাত্র সন্তান দীঘির পথ দুর্ঘটনায় থেমে গেলে পাল্টে যায় সব। পাল্টে গেলেন সীমাও। এখন দূরদূরান্তে দীন পর্ণকুটিরে ঘুরে ঘুরে সন্ধান করেন অলীক সরষে দানার, যে সংসারে কষ্ট নেই, দুঃখের ছায়া নেই, যারা মৃত্যুঞ্জয়ী।
এখন মন আলো করা মানুষের কথা উঠে আসে তার লেখায়। লেখার সঙ্গে সঙ্গে এগোয় সমাজকর্ম। কাজের ক্ষেত্র চির অবহেলিত সুন্দরবন। মঊলে, গুণিন, বাঘ, ডাকাত, চোরা শিকার, দেবদেবী আর তুকতাকের গাছে ঘেরা আলো না ঢোকা কাদায় মোড়া এক বনাঞ্চল। গল্পে পড়া সুন্দরবন নতুন ভাবে ধরা দিল তার কাছে। দীঘির গাঙ্গুলী ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবায় অক্লান্ত তিনি। সীমান্তবর্তী দ্বীপগুলিতে চোখ বাঁচানোর কাজ চলছে নিয়ত। আর তার সঙ্গে চলছে অবলাদের না বলা অনেক অনেক গল্প সারা বই জুড়ে। মানুষের গল্প। এই গোটা বইতে কোনও প্রভু নেই, সরকার নেই, রাষ্ট্রর খবরদারী নেই। এ এক অদ্ভুত নির্মাণ। অনন্ত খেয়া পারাপারের মাঝে খামখেয়ালি বন কেবল অনিশ্চিত এক আশ্রয়।
Book Review
There are no reviews yet.