‘তের নদীর পারে’ ছবির সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য – বারীন সাহা
Author : Barin Saha
Publisher : Monfakira - মনফকিরা
বারীন সাহা নামে এক চলচ্চিত্রকার যে প্রায় একশো বছর আগে জন্মেছিলেন এই দেশে, আর তিনি যে বছর-ষাটেকেরও আগে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের আধুনিক বাংলা ছবি পরিচালনা করেছিলেন, যে-ছবি বিষয়ে ও প্রয়োগে এখনও সমসাময়িক, আধুনিকতম— সে-কথা মনে রাখার লোক আজ বিরল হয়ে এসেছে।
একই সঙ্গে বেরিয়েছে বারীন সাহার নিজের লেখাপত্র, কথালাপ ও সাক্ষাৎকার এবং বারীন সাহা-কে নিয়ে তাঁর অনুরাগী, সমধর্মী-সহকর্মী ও সমালোচকদের লেখাপত্রের আর-একটি সংকলন : ‘চলচ্চিত্রাক্ষর’। নতুন প্রজন্মের পাঠক যদি দুটি বই একসঙ্গে পড়েন, তবে বারীন সাহা-কে খানিকটা ছুঁতে পারবেন।
Publisher | Monfakira - মনফকিরা |
Binding | Paperback |
Language | Bengali |
বারীন সাহা নামে এক চলচ্চিত্রকার যে প্রায় একশো বছর আগে জন্মেছিলেন এই দেশে, আর তিনি যে বছর-ষাটেকেরও আগে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের আধুনিক বাংলা ছবি পরিচালনা করেছিলেন, যে-ছবি বিষয়ে ও প্রয়োগে এখনও সমসাময়িক, আধুনিকতম— সে-কথা মনে রাখার লোক আজ বিরল হয়ে এসেছে।
এই ছবি এখন দেখতে পাওয়াও কঠিন, বছর-কুড়ি আগে এর একটি মাত্র প্রিন্ট ছিল পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আর্কাইভে, কিন্তু এখন তা-ও আর আছে কি না, বা কী অবস্থায় আছে, আমরা জানি না।
চোখে দেখার সুযোগ প্রায় না-থাকলেও অন্তত মনে-মনে এই আশ্চর্য ছবিটি দেখার জন্য অতএব এখন শুধু এই চিত্রনাট্যটি থাকল।
কিন্তু বলে নেওয়া ভালো যে, এই চিত্রনাট্য স্বয়ং পরিচালকের নিজের হাতে লেখা নয়, বা তাঁর শুটিং স্ক্রিপ্ট নয়। পুনের ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ছবিটি যোগাড় করে স্টেইনবেক যন্ত্রে তা চালিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ডিটেলে এই চিত্রনাট্য একদা প্রস্তুত করেছিলেন পিনাকী চট্টোপাধ্যায়। ঐ ইনস্টিটিউটের সম্পাদনা বিভাগে ২০০৪-এ তিনি শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁকে তখন সাহায্য করেছিলেন প্রমিতা ভট্টাচার্য আর বিশেষত ছবির স্টিল নির্বাচনে সূর্যদীপ রায়। নির্বাচিত সেই সমস্ত ছবি এই বইয়ে যথাস্থানে ছাপা হয়েছে। বস্তুত এই একটি কাজের জন্য বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস তাঁদের কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে বলে মনে হয়।
একই সঙ্গে বেরিয়েছে বারীন সাহার নিজের লেখাপত্র, কথালাপ ও সাক্ষাৎকার এবং বারীন সাহা-কে নিয়ে তাঁর অনুরাগী, সমধর্মী-সহকর্মী ও সমালোচকদের লেখাপত্রের আর-একটি সংকলন : ‘চলচ্চিত্রাক্ষর’। নতুন প্রজন্মের পাঠক যদি দুটি বই একসঙ্গে পড়েন, তবে বারীন সাহা-কে খানিকটা ছুঁতে পারবেন।
Book Review
There are no reviews yet.